গ্রীষ্ম-বর্ষার সময়টাতে যাদের গায়ে ঘামের তীব্র গন্ধ থাকে তারা নিজেরা তো বিড়ম্বনায় পড়েনই, অন্যদেরও ফেলেন ঝামেলায়। তাদের সে সমস্যার সমাধানে সম্প্রতি হয়ে গেলো গবেষণা।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক ভিডিও প্রতিবেদনে জানা যায়, শরীরের দুর্গন্ধ মোকাবেলার ক্ষেত্রে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ইংল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, পুরো বিষয়টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া।
স্টেফালোককাস নামে এই ব্যাকটেরিয়া পরিমাণে সামান্য কিন্তু তারাই ঘাম থেকে সবচেয়ে তীব্র গন্ধ তৈরি করে।
মনে করুন আপনি ঘামছেন, এই ঘাম থেকে তাৎক্ষনিকভাবে কোনও দুর্গন্ধ তৈরি হবে না। তবে, এই ঘামের সঙ্গে স্টেফালোককাস নামক এই ব্যাকটেরিয়ার যোগাযোগ হলেই তৈরি হয় তীব্র দুর্গন্ধ।
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, এই ব্যাকটেরিয়া একধরনের পরিবাহী প্রোটিনকে ব্যবহার করে যা ঘাম থেকে আসা গন্ধহীন অংশ খেয়ে ফেলে। আর তখনই তৈরি হয় শরীরে দুর্গন্ধ।
এই গবেষণার পর এখন নতুন প্রজন্মের ডিওডরেন্ট কিংবা পাউডার বাজারে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। নতুন প্রজন্মের এই ডিওডরেন্টে এমন উপাদান থাকবে যা এই ব্যাকটেরিয়া যে প্রোটিন ব্যবহার করে, তার কাজ প্রতিরোধ করতে পারবে।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত সেই বডি স্প্রে বাজারে না আসবে ততদিন যা করতে পারেন তা হচ্ছে-
১) বগল পরিষ্কারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এই সাবান দ্রুত ঘাম শুকাতে সাহায্য করে।
২) নিয়মিত শেভ করুন এবং বাতাস পরিবাহী সুতি কাপড়ের পোশাক পরতে হবে।