৭ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধস্ত সিরিয়ার নাগরিকরা। দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণ ভিটেমাটি ছাড়া। এর মধ্যে ৩৫ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী হয়ে তুরস্কে অবস্থান করছেন।
তুরস্কে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়া এসব হাজার হাজার সিরিয়ার নাগরিক এবার ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নিজ দেশে ফিরছেন। তবে ঈদ শেষে তারা আবার তুরস্কে ফিরবেন।
সিরিয়ার কিছু শহর এখন নিরাপদ মনে করা হচ্ছে। আজাজ, মারে, সোওরান, আখতারিন, আফরিন, জারাবলুস এবং আলবাব শহরে যেতে ৫০ হাজার সিরিয়ানের জন্য তুরস্ক সীমান্ত খুলে দিচ্ছে।
৬ আগস্ট থেকে সিরিয়ানদের সাময়িক সময়ের জন্য দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সীমান্ত অতিক্রম করতে নিজ পাসপোর্ট, রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র এবং সাময়িক আশ্রয় কার্ড দেখাতে হচ্ছে।
তুরস্কের সিলভেগোজু সীমান্ত পাড়ি দিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার সিরিয়ান উদ্বাস্তু নাম তালিকাভুক্ত করেছেন।
সীমান্তের কাছে তাবুতে এসে ভিড় করছে সিরিয়ান উদ্বাস্তুরা। তুরস্কের সরকারী কর্তৃপক্ষ তাদের পরিশেবা দিয়ে যাচ্ছে। বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের গুরুত্বসহকারে সেবা ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাদিম হামদো ৫ বছর পর এবার বাড়িতে ফিরছেন। তিনি তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরে থাকেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, আমি গত ৫ বছর সিরিয়া ফিরতে পারিনি। আমার অধিকাংশ আত্মীয় সিরিয়ায় থাকে। বহুদিন পর সত্যিকার অর্থে আমরা এবার ঈদ করবো।
সিরিয়ান রিফিউজি ইসরা সোজান প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রশংসা করে বলেন, ৪ বছর বিচ্ছিন্ন থাকার পর সন্তান ও আত্মীয়দের সাথে এবার ঈদের ছুটি কাটাতে পারবো। এটা সম্ভব করায় প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ। আশা করছি যুদ্ধ শেষ হবে। আমরা স্থায়ীভাবে দেশে ফিরতে পারবো।