যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ এর রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করে সংসদের আগামী অধিবেশনে পাসের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি বেগম রেবেকা মমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি, বেগম ফজিলাতুন নেসা এবং মনোয়ারা বেগম অংশ নেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগমসহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৫ জুন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ জাতীয় সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়, কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবে।
এছাড়া যদি বিয়ের কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলে।
এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো দণ্ডের বিধান ছিল না।