আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন কিছুই মানে না, আইন-আদালত মানে না। সংবিধান-বিচার মানে না। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি হেরে যাবে, সে কারণে তারা আজ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দেশে ২০১৪ সালের মতো একটি ভয়ঙ্কর সহিংস পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে তাদের এই খোয়াব বাংলাদেশের জনগণ পূরণ হতে দেবে না। বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে জনগণ তা প্রতিহত করবে, করা হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যে যে বিভাগ দরকার, সেই বিভাগগুলো নির্বচন কমিশনের অধীনে থাকবে। বর্তমান সরকার বা যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তাদের হাতে কোনো ক্ষমতা থাকবে না।
বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অভিযোগের জবাব দিতে চাই না। মওদুদ আহমদ কোনো ধরনের অবরুদ্ধ না। তার বাড়ির সামনে বিএনপির লোকও নেই, আওয়ামী লীগের লোকও নেই। মওদুদ আহমদের এটাই হচ্ছে অভ্যাস।
মওদুদ আহমদ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের নেপথ্যের কুশীলবের মধ্যে মওদুদ আহমদ হচ্ছেন প্রধান ব্যক্তি। সেখানে আন্দোলনে তিনি ফেল করে রমজানের ঈদে বাড়ি গিয়ে একটি নাটক করেছেন। এটি অবরুদ্ধ হওয়ার একটি নাটক।
তিনি আরও বলেন, তাকে কেউ অবরুদ্ধ করেনি। এলাকায় তার সেই অবস্থা নেই। অযথা তার গুরুত্ব আমি কেন বাড়াব?
ঈদযাত্রা বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সড়কের অবস্থা অনেক ভালো থাকবে।
তিনি বলেন, যানজট শুধু সড়কের কারণে হয় না। ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের খবর নেয়া হয়েছে, এখনো কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। যানজট হবে না, এটা বলা যাবে না। মাঝে মাঝে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। ঘাটে ফেরি বিলম্বিত হওয়ার কারণে অনেক সময় ঘাটে গাড়ির যানজট হয়। পশুবাহী গাড়িগুলোর গতি একটু ধীর হয়, এ কারণেও সড়কে অন্য গাড়িরও একটু ধীরগতি হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রাস্তায় যানজট নিরসনে মেঘনার পর এবার গোমতি নদীতেও আগামী রোববার থেকে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।