প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন আদালতে নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
আদালতে তিনি স্বীকার করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের নির্দেশনা মোতাবেকই তিনি পর্নস্টার ক্লিফোর্ডকে মুখ বন্ধ করার জন্য টাকা দিয়েছিলেন।
আদালতে তিনি আরও স্বীকার করেন, এই টাকা দেয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের ফলাফলে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেটা নিশ্চিত করা।
৫১ বছর বয়স্ক এই আইনজীবী আদালতে আটটি ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে নিজেকে অপরাধী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আইনজীবীদের সাথে কর ও ব্যাংক জালিয়াতি নিয়ে অবৈধ চুক্তি করাসহ আরও অন্যান্য অপরাধ।
কোহেন বলেন, তিনি ‘ফেডারেল অফিসের একজন ক্যান্ডিডেট’ (যাকে ট্রাম্প বলে ধরে নেয়া হয়) কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে ফেডারেল ইলেকশন আইন ভেঙেছেন।
আইন ভঙ্গের এই অভিযোগে কোহেনকে ৬৫ বছরের মতো জেলবাসের সাজা ভোগ করতে হতো। কিন্তু স্বীকারোক্তি দেয়ার ফলে তার সাজা কমে দাঁড়াবে পাঁচ বছর তিন মাসের মতো। এমনটিই জানিয়েছেন বিচারক উইলিয়াম পলি।
কোহেনের এ মন্তব্য নিয়ে হোয়াইট হাউস কোনও বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে পূর্ব নির্ধারিত এক র্যালিতে ট্রাম্প উপস্থিত হলে তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও জবাব দেননি।
শুধু কোহেনই নয়, ট্রাম্পের আরেক সহযোগী ও তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাবেক প্রধান পল ম্যানাফোর্টকেও ব্যাংক ও কর জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আলেকজান্দ্রিয়ার ভার্জিনিয়ার এক আদালতে এ মামলাটির রায় হয়।