‘৩৬৫ দিন কান্না করেছি: এখন আমি রাগী’ এভাবে ফেস্টুন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুর।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সেনা বাহিনীর কারণে স্বজন হারিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছি এক বছর হবে। এখন আর এভাবে জীবন-যাপন করতে ভাল লাগছে না। নিজ দেশ, নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে চাই।’
শুধুমাত্র মো. নুর নন; মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার এখন একটাই দাবি- ‘রাখাইনে গণহত্যার বিচার আর নাগরিকত্ব নিয়ে নিরাপদে স্বদেশে ফিরতে চাই’।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা ঢলের এক বছর উপলক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই মিছিলে যোগ দেন, হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু।
দাবি জানান, নিজ জন্মভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের। রোহিঙ্গারা বলেন, তারা আর বাংলাদেশে থাকতে চান না। নাগরিক অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান।
এদিকে রোহিঙ্গা ঢলের এক বছর উপলক্ষ্যে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে এ আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, আমাদেরকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু আমরা কতদিন এদেশে থাকবো? আমরা দিনে দিনে এদেশের বোঝাতে পরিণত হচ্ছি। তাই আমরা স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অনুরোধ, মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করুন যাতে মিয়ানমার সরকার দ্রুত আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিলম্ব করতে মিয়ানমার সামরিক জান্তা নানা টালবাহানা শুরু করেছে।
রোহিঙ্গা ঢলের এক বছর উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩০ ক্যাম্পে চলে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।