logo
আপডেট : 28 August, 2018 14:35
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনটি ভুয়া: নেপালের তদন্ত কমিটি
মেইল রিপোর্ট

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনটি ভুয়া: নেপালের তদন্ত কমিটি

দূর্ঘটনার ফাইল ছবি

নেপালের ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট এবং কান্তিপুর অনলাইনে প্রকাশিত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি ভুয়া বলে দাবি করেছে এই ঘটনায় দেশটির সরকার গঠিত অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন, ২০১৮।

সোমবার কমিশনের সদস্য সচিব বুদ্ধি সাগর লামিচানের সই করা একটি বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের দিনই বিবৃতিটি দেয়া হলো কমিশনের পক্ষ থেকে।

এতে বলা হয়, গণমাধ্যম দুটিতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তাতে গভীর উদ্বিগ্ন ও অসন্তুষ্ট কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তার অনুসন্ধান এখনও চলছে।

বলা হয়, অনুসন্ধান কমিটির মূল লক্ষ্য দুর্ঘটনাটির সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা এবং ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া। কমিশনের বিশ্বাস, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মতো কোনও বিষয় নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের অনৈতিক ও প্রতারণাপূর্ণ সংবাদ সাধারণ মানুষ এবং সংশ্লিষ্টদের মনে ভ্রান্ত ধারণা ও বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে। যে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য ছাড়া এবং তদন্ত কমিটির সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়া ধরনের সংবাদ প্রকাশ অত্যন্ত লজ্জাজনক।

আরও বলা হয়, কমিশন জানাতে চাই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি এবং কোনও প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। তদন্ত শেষ হলে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগাইনাজেশন ও সরকারের বিধি অনুযায়ী তা সবার জন্য প্রকাশ করা হবে।

একইভাবে উড়োজাহাজ দুর্ঘাটনায় নেপাল ও এর বন্ধুরাষ্ট্রের নাগরিকদের মৃত্যুর মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে অযথা অনুমাননির্ভর তথ্য প্রকাশ থেকেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকতে কমিশন অনুরোধ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিটিতে।

এর আগে কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও বেপরোয়া ছিলেন। একইসঙ্গে অবতরণের সময় তিনি কন্ট্রোল টাওয়ারকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিলেন। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর এক ঘণ্টার যাত্রায় ককপিটে বসে অনবরত ধূমপান করছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ সোমবার ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন কেবিন ক্রু-সহ ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। উড়োজাহাজটি নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন নিহত হন৷ তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি৷ এ ঘটনায় ২০ জন প্রাণে বেঁচে ফেরেন। ঘটনার পরপরই বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে।