জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেমনিটসে উগ্র ডানপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বামদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছুরিকাঘাতে এক জার্মানি নিহত হওয়ার ঘটনায় এক ইরাকি ও সিরিয়ান নাগরিককে আটক করার পর সোমবার অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
ছুরিকাঘাতে এক জার্মান খুনের ঘটনায় এক ইরাকি ও সিরীয় গ্রেফতার হওয়ার পর জার্মানির কেমনিটস্ শহরে অবিভাসনবিরোধী কট্টর ডানপন্থী প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে বামপন্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ বলছে, দুপক্ষ থেকেই পটকা ছুড়ে মারার পর কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের থামাতে পুলিশ জলকামান নিয়ে আসে।
অভিবাসীদের পক্ষে ও বিপক্ষে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসার পর সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের এক মুখপাত্র হুশিয়ার করে বলেছেন, জার্মানি বিচারবহির্ভূত শাস্তি মেনে নেবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৫ সালে মেরকেল সরকার প্রায় ১০ লাখ আশ্রয়প্রার্থীকে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমিত দেয়ার পর দেশটির সমাজে তৈরি হতে থাকা বিভেদ এ অস্থিরতায় প্রতিফলিত হয়েছে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৫ বছর বয়সী এক জার্মান ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের সময় বিদেশিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় বিদেশিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেমনিটসে কাল মার্কসের বিশাল মূর্তির কাছে হাজারেরও বেশি বামপন্থী প্রতিবাদকারী জড়ো হন।
এখানে সমাবেশের উদ্দেশ্যে কেমনিটসের কট্টর বামপন্থী পার্টির প্রধান টিম ডেটসনার বলেন, যাদেরই বিদেশি মনে হচ্ছে, লোকজন তাদের পেছনেই ছুটছে, এ দৃশ্যে আমরা শঙ্কিত।
কাছেই প্রায় একই সংখ্যক প্রতিবাদকারী জার্মান ও বাভারিয়ান পতাকা দোলাতে দোলাতে জমায়েত হন। তাদের অনেকে স্লোগান তোলেন- আমরাই অধিবাসী, এ স্লোগানটি কট্টর ডানপন্থীরা ব্যবহার করে থাকেন।
এ সময় দুপক্ষকে আলাদা রাখতে পুলিশ তাদের মাঝখানে ব্যারিকেড বসায়। কিন্তু তার পরও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ডানপন্থী কয়েকজন প্রতিবাদকারী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সংঘর্ষে জড়ায়। দুপক্ষ পরস্পরের দিকে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারে।
এ সময় সংঘর্ষরতদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হলে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।