মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযান বন্ধে হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে নেয়ার দাবি উঠেছিল।
তবে বুধবার নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ এনজোয়েলস্টাড জানিয়েছেন, সু চির পুরস্কার প্রত্যাহার করা হবে না।
গত সোমবার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সু চির নিষ্ক্রিয়তার কারণে নতুন করে তার নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবির প্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিলো নোবেল কমিটি।
নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ এনজোয়েলস্টাড বলেন, এটা মনে রাখা উচিত যে পুরস্কার পাওয়ার মতো অতীতের কোনও অর্জনের জন্যই পদার্থ, সাহিত্য বা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। অং সান সু চি গণতন্ত্র ও মুক্তির জন্য ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংগ্রামের কারণে ওই বছরই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
তিনি বলেন, যে নিয়মানুসারে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় সেটিই এই পুরস্কার প্রত্যাহারের অনুমোদন দেয় না।
এর আগে গত বছর নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসনও জানিয়েছিলেন যে, সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করা হবে না।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু হলে সু চির বেশ কয়েকটি পদক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তাকে দেয়া ফ্রিডম অব দি সিটি অব অক্সফোর্ড অ্যাওয়ার্ড, ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব ডাবলিন অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাজ্যের এই দুই শহর কর্তৃপক্ষ। এক যুগ আগে সু চিকে দেয়া সম্মাননা স্থগিত করে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন- ইউনিসন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হলোকাস্ট মিউজিয়াম সু চিকে দেয়া মানবাধিকার পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেয়
উল্লেখ্য, কেবল নোবেল শান্তি পুরস্কার নরওয়ে থেকে দেয়া হয়। আর বাকি পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে দেয়া হয়।