১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যখনেই নির্বাচন আসে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেয়ার সময় আসে, তখনই একটি অশুভ মুখচেনা-মহল তৎপরতা শুরু করে দেয়। আমরা বিশ্বাস করি এই ধরনের চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। ১৪ দলও সজাগ আছি। দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, আগামী নির্বাচনকে ফলপ্রসূ করার জন্য আপনারা সজাগ থাকবেন। এই লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ থেকে মাঠে নামবো। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করবো। এই সমাবেশ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমাদের সামনে একটাই কাজ-’৭১ এর ঘাতক ও ’৭৫ এর খুনিদের পরাজিত করা, মাঠে-ময়দানে এবং নির্বাচনের মাঠে তাদের পরাজিত করা। নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন করা জনগণের অধিকার, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাও একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। জনগণের রায়কে সবাই হাসিমুখে বরণ করে নেবে, এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৪ সালে নির্বাচনে এই অশুভ মহলটি জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে একটি অসাংবিধানিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। আজকে যখন নির্বাচন প্রায় ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন আবার সেই মুখচেনা মহলটি মাঠে নেমে গেছে।
ইভিএমের বিষয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নির্বাচনকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। সে ব্যাপারে দেশবাসী যেমন সজাগ, তেমনি সংবাদমাধ্যমও সজাগ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে ফ্রন্ট হচ্ছে, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমরা তো অনেককে চিনি। অত্যন্ত ঘৃণা, উদ্বেগের সঙ্গে বলতে হয়, কিছুদিন আগেও এখানে জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা আজকে প্রকাশিত হয়ে গেছে। একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, আইনজ্ঞ কীভাবে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ব্যবহার করে জুডিশিয়াল ক্যু করে পাকিস্তানের মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে, ১৪ দলের নেতাদের দৃঢ়তার কারণে ওই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গেছে।
সংবিধানের বাইরেও নির্বাচন করা যেতে পারে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যারা কথা বলেন তাদের মনের অভিসন্ধি কী, তা বোঝা যায়।