ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সব ধরনের মানবিক সাহায্য সহযোগিতা পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফস অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ) যুক্তরাষ্ট্রের এ অমানবিক সিদ্ধান্তকে ‘অসংশোধনীয় ভুল’ বলে বর্ণনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিদার নর্ট বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন ‘সাবধানে পর্যালোচনা’ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আর কোনো সাহায্য করা হবে না।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর একটি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এভাবে সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ করে মার্কিনিদের অন্যায় আবদার মেনে নিতে ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করা যাবে না। এটাকে জাতিসংঘের নীতিবহির্ভূত কাজ বলেও উল্লেখ করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
এক সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এছাড়া ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মধ্যে ৭০ বছর আগে যাদের বাড়িঘর দখল করেছিল ইসরাইল, কেবল ওই পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকেই শরণার্থী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনি বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং এতিম শিশুদের সাহায্যার্থে জাতিসংঘের ইউএনআরডব্লিউএ ত্রাণ শাথা কাজ করে যাচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ করে সব ধরনের মার্কিন সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী এ সংস্থাটি।