জাপানে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘জেবি’ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য জাপান টাইমস।
এছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অঞ্চলটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সেতুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে তকুশিমা অঞ্চলের দক্ষিণাংশে আঘাত হানে।
এসময় দেশটির আবহাওয়া সংস্থা পশ্চিম ও উত্তর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া এবং ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করে। এরপর দুপুর দুইটার দিকে কোব শহরে আবারও ভূমিধস সৃষ্টি করে ঘূর্ণিঝড়টি।
এদিন রাত ১০টার দিকে নিগাতা অঞ্চলের উত্তরে জাপান সাগরেও ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছিল জেবি। এসময় এর কেন্দ্রে ছিল ৯৭৫ হেক্টোপ্যাসক্যাল বায়ুমণ্ডলীয় চাপ।
আবহাওয়ার বিভাগের প্রধান পূর্বাভাসকারী রিউতা কুরোরা বলেন, ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে টাইফুন জেবি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এটি ১৯৯৩ সালের পর জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
ওসাকা, কিয়োতো, নারা, হিয়োগো, কাগাওয়া, ইহিমে ও ওয়াকাইয়ামার কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরকারে শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্র ইওশিহিদে সুগা এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত সরে পড়ার আহ্বান জানান। সম্ভাব্য যেকোনও সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তার কিয়ুসু অঞ্চল সফর বাতিল করেন। এছাড়া ‘অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ’ ৩২০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং ‘জাপান এয়ারলাইনস’ ২৭০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করে।