সৌদি আরবের জিজান প্রদেশের আরামকো তেল স্থাপনায় আবারো দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধা-সমর্থিত সেনারা।
ইয়েমেনের সূত্রগুলো বলেছে, বাদ্র-১ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেনারা সফল হামলা চালিয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার আরামকো স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিপ্লবীরা।
জিজান উপকূলে সৌদি আরবের একটি ফ্রিগেটে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দুদিন পর আরামকো তেল স্থাপনায় এ হামলা চালাল ইয়েমেনি সেনারা। ফ্রিগেটে হামলার ঘটনায় সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন নিয়মিত সেনা ও ভাড়াটে সেনা নিহত হয়।
ইয়েমেনি সূত্র বলছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্প পাল্লার একটি বাদ্র-১ ক্ষেপণাস্ত্র আরামকো কোম্পানির একটি তেল শোধনাগারে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে। জিজান শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইয়েমেনের পদত্যাগী, পলাতক ও সৌদিপন্থী প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে পশ্চিমা-মদদপুষ্ট সৌদিজোট ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। এ
জোটের নির্বিচার বিমান হামলায় হতাহত হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি ইয়েমেনি নাগরিক।
হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইয়েমেনের বেসামরিক অবকাঠামোর বেশির ভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে সৌদি জোটের এমন নির্বিচার হামলায়।
আরব আমিরাত ছাড়াও মিশর, বাহরাইন, মরক্কো, জর্দান, সুদান ও কুয়েত সৌদিজোটের সদস্য। এ দেশগুলো এখন পর্যন্ত ইয়েমেনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।