বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল নয়। বললেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল পত্রিকা অফিসে আয়োজিত ‘সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা: প্রাতিষ্ঠানিক নীতি কাঠামোর দাবি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, নিরাপত্তাজনিত বা অন্য কোনও কারণে গত সাত মাস মূল আসামি কোর্টে হাজিরা দিচ্ছে না। তাই তার নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার জন্য সেখানে কোর্ট বসানো হয়েছে। এতে কারও অধিকার খর্ব করা হয়নি।
তিনি বলেন, একটা কথা উঠেছে যে এটা ক্যামেরা ট্রায়াল। ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে যেখানে কোনও পাবলিক বা মিডিয়াকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তার আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি এর কোনও তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল জিয়া চ্যারিটেবল মামলার আসামি খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে এই কোর্ট সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যেখানে আদালত বসানো হয়েছে, সেখানে কারও প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ নয়। এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞায়ও পড়ে না।
নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা না করে বিচারকে কিভাবে বয়কট করা যায় বিএনপির আইনজীবীরা সেই চেষ্টাই করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে শুধু এটাই প্রমাণিত হয় যে তারা নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করছেন। এই কারণে তারা বিচারের সম্মুখীন হতে চান না।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারলে কোনও অসুবিধা নেই। বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে ও হবে। ন্যায় বিচার তারা পাবেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা হয়ত তার ইমোশনাল বক্তব্য। এটাকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দেবো না।