ভারতের হরিয়ানায় আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পাওয়া ১৯ বছরের এক কলেজ ছাত্রী। কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।
হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার ওই কলেজ ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতকারীরা তার গ্রামেরই বাসিন্দা। বাড়ি ফেরার সময় তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় তারা। এরপরই তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সিবিএসই-র শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কারও নিয়েছেন তিনি।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনাস্থলে হাজির আরও কয়েকজন কিশোরীর শারীরিক নিগ্রহ করে। এরপর কানিনায় একটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
বুধবার ওই ঘটনা জানাজানি হয়। ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ জানালে প্রথমে তা নেয়া হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত রেওয়ার মহিলা থানা ওই ঘটনায় একটি ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধর্ষণের ঘটনা কোথায় ঘটেছে সেটি স্পষ্ট না হওয়ায় ‘জিরো এফআইআর’ নেয়া হয়েছে।
এদিকে ওই কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, অভিযোগ করায় তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার বলেন, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গুরুগ্রামের ফারুখনগরে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর গেল মে মাসে মেওয়াটে ১৭ বছরের কিশোরীকে আটজন মিলে ধর্ষণ করে।