পশ্চিম তীরের খান আল-আহমার নামের একটি বেদুইন গ্রামে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
গ্রামটি ধ্বংস করে সেখানকার ১৮০ বাসিন্দাকে সরিয়ে দিতে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর শুক্রবার সেখানে সব রাস্তা বন্ধ করে দিলো দেশটির সেনাবাহিনী।
আব্দুল্লাহ আবু রহমা নামের এক স্থানীয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, পূর্ব জেরুজালেম থেকে খান আল-আহমারে যাওয়ার সব রাস্তা বুলডোজার দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তাটি খোলা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন আবু রহমা।
খান আল-আহমার থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হ্যারি ফউসেট জানিয়েছেন, ইসরাইলি সৈন্যরা সেখানে ধাতু দিয়ে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী গেট নির্মাণ করেছে, যেগুলো ইচ্ছামতো খোলা ও বন্ধ করা যায়।
মনে হচ্ছে এটা গ্রামটি ধ্বংস করার সবশেষ প্রস্তুতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইসরাইলের পরিকল্পনা হলো গ্রামটি ধ্বংস করা এবং সেখানকার লোকদের সরিয়ে দেয়া। ফিলিস্তিনিরা এর তীব্র কঠোর সমালোচনা করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। এতে ইসরাইলের খান আল-আহমার গ্রামটি ধ্বংস করা এবং এখানকার বাসিন্দা জোর করে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খান আল-আহমারের বাসিন্দারা বেদুইন জাহালিন উপজাতি সদস্য। এর আগে ১৯৫০ সালে তাদেরকে নকিব (নেগেব) মরুভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইসরাইলি সেনারা। এখানে বসতি স্থাপনের আগেও তাদেরকে দুইবার স্থানান্তরিত হতে হয়।