logo
আপডেট : 18 September, 2018 01:55
সংক্রামক ব্যাধির কথা গোপন রাখলে জেল-জরিমানা
ঢাকা অফিস

সংক্রামক ব্যাধির কথা গোপন রাখলে জেল-জরিমানা

যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক ব্যাধির কথা গোপন রাখে এবং পরে যদি এ রোগের বিস্তার ঘটে তাহলে সেই ব্যক্তির জেল জরিমানা হবে। 

সোমবার সংসদে এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল-২০১৮’নামক এ বিলে  সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রোগ লুকানোর অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বিলে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা ঘটতে সহায়তা করেন বা স্থানের সংস্পর্শে আসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি গোপন করে থাকেন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি উত্থাপন করেন।

বিলটিকে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়, সুস্থ কেউ যাতে আক্রান্ত না হন, সে জন্য কারও সংক্রামক রোগ হলে সেই তথ্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর বিষয়ে প্রস্তাবিত আইনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলে কোনো এলাকায় সংক্রমণ দেখা দিলে সে জায়গাকে ‘সংক্রমিত এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিধানও রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকার রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত দ্রব্যাদি বিশুদ্ধ বা ধ্বংস করতে পারবে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে সরকার দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে। 

সংক্রমিত স্থান বা স্থাপনা জীবাণুমুক্ত বা বন্ধ করতেও ব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া যদি কোনো স্থাপনা জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব না হয়, তবে তা সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে জানাতে হবে। সিভিল সার্জন সেটি ধ্বংস করার জন্য মালিককে নির্দেশ দিতে পারবেন। সরকার জীবাণুযুক্ত যানবাহন প্রয়োজনে জব্দ করতে পারবে।

এছাড়া কেউ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ হলে উক্ত ব্যক্তির মৃতদেহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন বা সৎকার করতে হবে বিলে বলা হয়।

পুরোনো চারটি আইন পুনর্বিন্যাস করে নতুন আইন করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। সেখানে ২৩টি সংক্রামক রোগের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সেগুলো হলো: ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ফ্লু, নিপাহ, অ্যানথ্রাক্স, মারস-কভ, জলাতঙ্ক, জাপানিস এনকেফেলাইটিস, ডায়ারিয়া, যক্ষ্মা, শ্বাসনালির সংক্রমণ, এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ, টাইফয়েড, খাদ্যে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস, ইবোলা, জিকা ও চিকুনগুনিয়া।

সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে আরও রোগের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে বলে বিলে আরও বলা হয়েছে।