logo
আপডেট : 20 September, 2018 03:03
চীনা পণ্যে ট্রাম্পের আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্কারোপ
মেইল রিপোর্ট

চীনা পণ্যে ট্রাম্পের আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্কারোপ

আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্কারোপ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্রতর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এবার চীনের প্রায় ছয় হাজার পণ্যের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্কারোপ করা হচ্ছে।

এসব পণ্যের মধ্যে হাতব্যাগ, চাল ও টেক্সটাইল পণ্য থাকতে পারে। তবে স্মার্ট ঘড়ি ও হাই চেয়ারের মতো পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে, এমন ধারণা থাকলেও এসব পণ্য ছাড় পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনো শুল্কারোপ করলে তার পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে চীন।

নতুন এই শুল্ক আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। শুরুতে ১০ শতাংশ করে শুল্ক আদায় করা হবে। চলতি বছরের বাকি সময়ে দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে আগামী বছরের শুরু থেকে এসব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আদায় করা হবে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চীনের অন্যায্য বাণিজ্যনীতি, ভর্তুকি এবং কিছু খাতে বিদেশি কোম্পানিকে স্থানীয় অংশীদার নেয়ার বিধানের জবাবে এসব শুল্কারোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কী ধরনের পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের সঙ্গে আরও ন্যায্য আচরণ করার জন্য চীনকে সব সুযোগ দিয়েছি আমরা; কিন্তু এ পর্যন্ত চীন তার ধরন পাল্টাতে রাজি হয়নি।

পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়েও চীনকে সতর্ক করেছেন তিনি। চীন যদি পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে তৃতীয় পর্বের দিকে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় পর্বের অর্থ আরও ২৬৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্কারোপ করা। আর যদি তাই হয়, তা হলে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা চীনের প্রায় সব পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে। এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করল যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে জুলাইয়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল হোয়াইট হাউস। এর পর গত মাসে চীনের আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এবার আরও শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আদমানিকৃত মোট চীনা পণ্যের প্রায় অর্ধেককে নতুন মাসুলের আওতায় নিয়ে এলো।

ট্রাম্প বলেন, কয়েক মাস ধরে আমরা চীনকে তাদের অন্যায় নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে আসছি। মার্কিন কোম্পানিকে যাতে ন্যায্য ও সমান অধিকার দেয়া হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছি। কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে, সে ব্যাপারে আমরা খুবই পরিষ্কার। আমাদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে আমরা চীনকে সব সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু এ পর্যন্ত চীন সেই পরিবর্তন আনতে চায়নি।