সিরীয় শরণার্থীদের নতুন ঢল নিয়ে ইউরোপকে সতর্ক করেছে তুরস্ক। ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও তুরস্ক- চারপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকের পর তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে সামরিক অভিযান শুরু করলে নতুন করে তুরস্কে ও ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল নামবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে সামরিকের পরিবর্তে সমাধান রাজনৈতিকভাবে হতে হবে।’
কালিন জানিয়েছেন, সাধারণ অভিমত হচ্ছে ইদলিবে পূর্ণ সামরিক হামলা হলে মানবিক সংকট দেখা দেবে এবং শরণার্থীদের নতুন ঢল নামবে। শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় সাংবাদিদের তিনি জানান, তুর্কি সরকার ইদলিবের বর্তমান অবস্থান রক্ষা করতে, বেসামরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সংকট ঠেকাতে চাইছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, শরণার্থীদের নতুন ঢল কেবল তুরস্কের জন্যই বোঝা হবে না। এটা এখান থেকে ইউরোপ পর্যন্ত সংকটের নতুন ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করবে। তাই কেউ এটা চায় না।’
চলতি মাসের প্রথম দিকে ইদলিবে সিরিয়া সরকার ও রাশিয়া বিমান হামলা চালাতে শুরু করেছে। তুরস্ক বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে। এদিকে, সিরিয়ার যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহর ইদলিবে যুদ্ধ নয়, বরং সেবা দেয়ার জন্য তুরস্ক সেনা পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসী আকার। তিনি বলেন, ইদলিবে যে কোনো প্রকারের সেনা আক্রমণ শহরটিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এরদোগান-পুতিন বৈঠক সোমবার : সিরিয়ার ইদলিব সংকট নিরসন নিয়ে সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
শনিবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তুরস্ক সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে আক্রমণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তার দেশ এখনও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত প্রদেশ ঘিরে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে কাজ করছে। দুই নেতা রাশিয়ার সোচি শহরে বৈঠকে বসবেন।