যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অভিবাসীরা খাদ্য, বাসস্থান কিংবা স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন তাদের গ্রিনকার্ড পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। মার্কিন সরকার একটি প্রস্তাবনায় এমন ঘোষণা দিয়েছে।
নতুন এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী যেসব অভিবাসী এসব সেবা গ্রহণ করছেন, তারা বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিদেশিদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা বন্ধ বা আরও কঠোর করতে এ উদ্যোগ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবেও যেসব বিদেশি যাবেন বা আছেন তাদের খাদ্য সহায়তা, গৃহায়ন বা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রস্তাবিত রেগুলেশন্সে অভিবাসন কর্মকর্তাদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের বেশ কিছু বিষয়ে সেবা পাওয়ার আইনগত অধিকার রয়েছে। কিন্তু নতুন নীতমালা হলে বিদেশিদের জন্য এসব সুবিধা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
প্রায় দুই দশক ধরে চলা নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অনুমতি নিয়ে বসবাসরত বিদেশিরা এসব সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।
যারা ভিসা চাইবেন বা স্থায়ী বসবাসের আইনগত অনুমতি চাইবেন তাদের জন্য এই নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। তবে যারা নাগরিকত্বের আবেদন করবেন তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্স্টজেন নিয়েলসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা অভিবাসনের আবেদন করবেন তাদের আর্থিকভাবে নিজেদের সাহায্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। অভিবাসীদের আত্মনির্ভরশীলতায় উদ্বুদ্ধ করা হবে যাতে তারা মার্কিন করদাতাদের জন্য বোঝা না হয়, সেজন্য প্রস্তাবিত আইন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এই নীতিমালা কংগ্রেসে উত্থাপনের প্রয়োজন হবে না।
যদিও চূড়ান্ত হওয়ার আগে এর ওপর মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে পাওয়া মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রায় তিন লাখ বিরাশি হাজারের বেশি ব্যক্তি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়ে থাকেন। তাই মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রস্তাবিত নতুন এই নীতিমালা এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।