কোনো সিন্ডিকেট নয় মালয়েশিয়ার জনশক্তি রপ্তানিতে এখন থেকে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করতে পারবে। মঙ্গলবার পুত্রাজায়ায় দু'দেশের সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলমান জি-টু-জি-প্লাস পদ্ধতিতে ১০টি এজেন্সির বদলে সব বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দু’দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় দু’দেশের মধ্যে বৈঠক হয়। কর্মী-সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কুলা সেগারান নেতৃত্ব দেন।
দেশটিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্মসচিব) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর।
উল্লেখ্য ১০ সিন্ডিকেটের অধীনে গেল দেড় বছরে দেশটিতে এসেছে দুই লাখের মতো কর্মী। জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে এই কর্মী আসলেও ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এর অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ।
প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মাহাথির মুহাম্মদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। কুয়ালালামপুরে মন্ত্রী আরও জানান, যারা অবৈধ আছে এবং দশ বছরের বেশি ভিসা দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. মনিরুস সালেহিন (কর্মসংস্থান), মন্ত্রীর একান্ত সচিব, উপ-সচিব মোহাম্মদ সাহিন (কর্মসংস্থান), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি ও একজন উপ-সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।