গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যানে উদ্ধার হয়েছে আরো ১০টি সিংহের মরদেহ। এক সপ্তাহ আগেও পাওয়া গেছে এক সিংহী এবং এক সিংহশাবকের মরদেহ। এ নিয়ে গত ১৮ দিনে ২১টি সিংহের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল গুজরাটে।
গুজরাটের গিরে এক সঙ্গে ২১টি সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় পশুপ্রেমী এবং পরিবেশবিদদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন দেশের বন দফতর।
নিজেদের মধ্যে লড়াই এবং লিভার ও কিডনিতে সংক্রমণের জন্যই ব্যাপক হারে সিংহের মৃত্যু বলে জানিয়েছে বন দফতর। যদিও যে ভাইরাসের আক্রমণে সিংহের মৃত্যু, সেই ভাইরাসটিকে এখনো শনাক্ত করতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে মোট ৫০০ এশিয়াটিক সিংহ বেঁচে আছে বর্তমানে। তার পুরোটাই আছে গুজরাটের গিরে। অর্থাৎ গির জাতীয় উদ্যানই এশিয়াটিক সিংহের শেষ আস্তানা।
যদিও ১৪০০ বর্গ কিলোমিটার জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে রাস্তা বানানো, অবৈধ খনি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং বাড়তে থাকা গ্রামের কারণে এই সিংহের অস্তিত্ব এমনিতেই সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। নতুন পরিস্থিতিতে নিশ্চিত ভাবেই আরও বাড়ল সঙ্কট।
আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ৩১ সিংহকে স্পেশাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, সমারদি এলাকাতেই সংক্রমণের ঘটনা বেশি। তাই এই এলাকার সিংহগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। আহত সিংহগুলোকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে মোট ৬৪টি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে গির জাতীয় উদ্যানে।