‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি অভিযোগ তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তদন্তের নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, অর্থ সচিবকে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালে ২০১৩ সালে এ বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি ও প্রকাশনার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটি ও সম্পাদনা কমিটি নামে দুটি কমিটি করা হয় সে সময়।
পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করার পর ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’। গত ২৫ মার্চ অনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির।
এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক খোলা কাগজে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইতে পাকিস্তানের ভূত- ঠাঁই পাননি বঙ্গবন্ধু, আছে স্বৈরাচার আইয়ুব খান’ এবং পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে পাকিস্তানের ভূত- দুরবিনেও মেলে না প্রধানমন্ত্রী ও আ. লীগের অবদান’ শীর্ষক দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বইটি নতুন করে সম্পাদনা করা সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।