অন হার শৌল্ডার নামের প্রামাণ্যচিত্রটি প্রকাশের পরপরই শান্তিতে নোবেল জয়ী নাদিরা মুরাদ বলেন, আমি নিজেকে দায়েশ সন্ত্রাসীদের শিকার হিসেবে পরিচিত করাতে চাইনি।
ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের সদস্য ২৫ বছর বয়সী নাদিয়া আইএসের যৌনদাসী হিসেবে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার তিনি কঙ্গোলিস চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আলেক্সান্ডারিয়া বোমবাচের চলচ্চিত্রে নিজের সম্প্রদায়ের পক্ষে নিজের কষ্টকর কাজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন তিনি।
নিজের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা ওপর দিয়ে যে নিপীড়ন চলেছে, মানুষকে তা বলে বেড়ানোর কথা ছিল না আমার। বরং আমার একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, কোনো ভালো ক্রীড়াবীদ বা মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়ার কথা ছিল।
আইএসএর ডেরা থেকে পালিয়ে আসা এই তরুণী পরে ইয়াজিদি জনতার মুক্তি আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হন। মালালা ইউসুফজাইয়ের পর তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে শান্তিতে নোবেল পেলেন।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ধর্ষণের মত যুদ্ধাপরাধ বন্ধের চেষ্টায় এবং এ বিষয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ডেনিস মুকওয়েগে এবং নাদিয়া মুরাদ।
“তারা দুজনেই যার যার জায়গা থেকে যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেছেন, যাতে সেই সব অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়।”
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৮ সালে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যেখানে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ধর্ষণের ব্যবহারকে যুদ্ধাপরাধ এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের ওই সিদ্ধান্তের দশক পূর্তিতে নরওয়ের নোবেল কমিটি যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা দুজনকে শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নিল।