চলতি মাসেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে আমি বলবো না, নির্বাচন কমিশন ২৭ জানুয়ারির আগে যে কোনোদিন তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আপনারা প্রস্তুত হোন, সময় আর বেশি নাই। তাই অক্টোবর মাসে আমরা মনোনয়ন পর্ব শুরু করে দিচ্ছি।
রোববার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে কোনো নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে না। সরকার যেটা আছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারই থাকবে। তবে সরকার তখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। মূলকাজ করবে নির্বাচন কমিশন।
‘সরকারের দায়িত্বের এরিয়া বদলে যাবে। মেজর দায়িত্ব থেকে সাধারণ দায়িত্ব পালন করবে। এ সরকারের সাইজটা হয়তো একটু ছোট হতে পারে। সেই প্রক্রিয়া অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে।’
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শোডাউনের নামে বিশৃংখলা করলে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না উল্টো নম্বর কাটা যাবে। মনোনয়ন পাওয়া যাবে জনমতের ভিত্তিতে। আপনাদের সবার আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। ক্যাডারের কারণে মনোনয়ন বাতিল হবে। যে নেতা ক্যাডারের কথায় চলেন, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের জায়গা নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতার দাপট মানুষ পছন্দ করে না। যেসব নেতাকর্মী ইয়াবার ব্যবসা করে, মাদক ব্যবসা করে, দুর্নীতি করে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।
‘আমার দুর্ভাগ্য ছাত্রলীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী হেলমেট ব্যবহার করে না।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ক্ষমতার মঞ্চে আসতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ২০টি ঈদের পরও আন্দোলন করতে পারেনি। তারা আর কবে আন্দোলন করবে? ২০১৯ সালের পরে তারা আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে পারে!
‘যারা জাতিসংঘের নামে মিথ্যাচার করে তারা কি ভুয়া? যতই নাশকতার পরিকল্পনা করেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো যাবে না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।