জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’-এ স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তার সম্মতির ফলে আইনটি কার্যকর হয়ে গেল।
সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাতটি বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি।
বিভিন্ন মহলের আপত্তির মধ্যেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনটিতে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। এছাড়া পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।
এ ছাড়াও এই আইনে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ সংযোজন করা হয়েছে। তা ছাড়াও আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচার করা যাবে।
এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হওয়ার প্রতিবাদে সম্প্রতি মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন সম্পাদকরা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। বৈঠকে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৩ অক্টোবর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধী মন না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।