উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
রোববার পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও‘র ‘ফলপ্রসু’ আলোচনার পর এ কথা জানিয়েছে সিউল।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে তিনদিনের সফরে পূর্ব এশিয়ায় রয়েছেন পম্পেও। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববারের ওই বৈঠকে শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরে সিউলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে কিমের সঙ্গে একমত হয়েছেন পম্পেও। যদিও ওই বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় বা স্থান ঘোষণা করা হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, পম্পেও এবং কিম ওই বৈঠকের স্থান ও তারিখের ব্যাপারে ‘বিভিন্ন অপশন’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পম্পেও এবং কিম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পদক্ষেপ এবং এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মাইক পম্পেও’র এটি চতুর্থ পিয়ংইয়ং সফর। এই সফরকে সফল উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে পম্পেও বলেন, আমরা ভালো, ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি।
এদিকে কিমও তাদের ‘দারুণ বৈঠকের’ প্রশংসা করেছেন। একজন অনুবাদকের মাধ্যমে পম্পেওকে কিম বলেন, এটা একটা দারুণ দিন যা দুই দেশের ভালো ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সিঙ্গাপুর বৈঠকের সমঝোতায় অগ্রগতি হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে আবারও সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ওই বৈঠকে তারা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।