কোরিয়া যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়া এখন শুধু সমযের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। তিনি জানান, এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া এই উপদ্বীপে তাদের যুদ্ধাবস্থা শেষ হওয়ার ঘোষণা দিলেই হয়।
‘কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হয়েছে’ উত্তর কোরিয়ার এমন ঘোষণার দাবি বিবেচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুন জায়ে-ইন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার নেতার এ আহ্বান এমন এক সময় এলো যখন পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি দুই দেশ ভিন্ন মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
কোরিয়া উপদ্বীপে ১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। এরপর দুই কোরিয়াকে উত্তর ও দক্ষিণ নামে ভাগ করে দুই পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি স্বাক্ষরিত হয়, যা আজও বলবৎ আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঘোষণা কিংবা চুক্তি কোনোটিই এখনো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলেছে।
অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং এতদিন বলে এসেছে, যুক্তরাষ্টের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলা করার জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া জরুরি। অস্ত্র তৈরির পর এখন বলছে, তারা কেবল তখনই কোরিয়া উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করবে যখন ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর এর শুরুটা হবে কোরিয়া যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দিয়ে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার মুন জায়ে-ইন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া সব পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করেছে। তাদের একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করেছে এবং এখন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধে কাজ করছে। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নেয় তারা তাদের ইয়ংবিয়ন পরমাণু কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঘোষণা একটি রাজনৈতিক ঘোষণা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সাথে কয়েক দশক ধরে চলে আসা শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক বন্ধ করতে পারে। এ ধরনের প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়াই হলো সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, যা যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া উচিত।’