logo
আপডেট : 13 October, 2018 01:49
তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা, মুক্তি পাচ্ছেন এন্ড্রু ব্রানসন
মেইল রিপোর্ট

তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা, মুক্তি পাচ্ছেন এন্ড্রু ব্রানসন

বহুল আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মযাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে অবশেষে মুক্তি দিতে যাচ্ছে তুরস্ক। এন্ড্রু ব্রানসনের মামলার শুনানির সময় শুক্রবার তাকে মুক্তির আবেদন জানানো হয়। 

তবে এ বিষয়ে আদালত এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

কিন্তু তুর্কি কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় ধারণা করা হচ্ছে ওই মার্কিন যাজককে মুক্তি দেয়া হবে। তুর্কি আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি খুব তাড়াতাড়ি যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে পারবেন।

এর আগে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

খবরে বলা হয়েছিল, তুরস্কে আটক মার্কিন নাগরিক ধর্মযাজক এন্ড্রু ব্রানসনের মুক্তির বিষয়ে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এনবিসির ভাষ্যমতে, হোয়াইট হাউস আশা করছে শিগগিরই ব্রানসনকে মুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। এমনটি জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

এদিকে, ব্রনসনের গৃহবন্দিত্ব এবং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করে এই আদালতের জারি করা রুলে যুক্তরাষ্ট্রের যাজককে ইচ্ছেমতো চলাফেরা করার অনুমতি দেয়া হয়।

কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে বন্দি থাকা দুই বছরকে কারাদণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করে এবং তার ভালো ব্যবহার বিবেচনায় নিয়ে বাকি শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে।

এদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, আমার ভাবনা ও প্রার্থনায় আছে যাজক ব্রনসনকে আমরা শিগগিরই নিরাপদে ফিরে পাব।

আরেকটি টুইট বার্তায় তিনি বলেন, যাজক ব্রনসন মাত্র মুক্ত হলেন। দ্রুতই দেশে ফিরবেন।

ফেতুল্লাহ টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশনের(এফইটিও) সদস্য সন্দেহে ব্রনসনকে ২০১৬ সালে ৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। এই বছরের ২৫ জুলাই অসুস্থতার কারণে তাকে জেল থেকে সরিয়ে নিয়ে গৃহবন্দি করার আদেশ দেন একটি ইজমির কোর্ট।

ব্রনসনের বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির(পিকেকে) এবং এফইটিও’র হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এই পিকেকে’কে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। আর এফইটিও ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে আকস্মিক অভ্যুত্থানের পেছনে ছিল।

তুরস্ক ব্রনসনকে আটক করায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।