logo
আপডেট : 13 October, 2018 02:01
নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবমুখর আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি
বিশেষ প্রতিনিধি

নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবমুখর আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শাসকদল উৎসবমুখর হলেও, বিএনপিতে তার ছিটেফোঁটাও নেই। সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। বিপরীতে মামলার জালে আটকা বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঘুরছেন আদালত থেকে আদালতে। 

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে সরকারি দলের এমন প্রচার নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লংঘন। 

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলোতে যোগ দিয়ে নৌকায় ভোট চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি মাসের শুরু থেকে, আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীতে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পোস্টার, বিলবোর্ড শহরে শোভা বাড়ালেও, নির্বাচনী উত্তাপ নেই বিরোধী বিএনপি শিবিরে। আওয়ামী লীগ নেতারা পোস্টারে-পোস্টারে ভোট চাচ্ছেন। আর মামলা থেকে মুক্তি চেয়ে পোস্টার-ব্যানার ঝুলছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সহজভাবে করতে পারছে। তারা এখন ক্ষমতায় আছে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে। কিন্তু বিএনপিও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন বিএনপিকে যদি নির্বাচনী প্রচারণায় আসতে না দেয়। জনগণ সেটা বিচার করবে। এতে তাদেরই জনপ্রিয়তা কমবে। ভোট বাক্সে তাদের ভোট কম হবে। 

তবে, তফসিল ঘোষণার আগে এমন নির্বাচনী প্রচারকে নির্বাচন কমিশনের বিধি’র লংঘন বলছেন বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা। ক্ষমতাসীন হওয়ায় কমিশন তাদের অপরাধ দেখে না বলেও অভিযোগ তাদের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, নির্বাচনের তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিযে যাচ্ছে। সারাদেশ নির্বাচনী পোষ্টারে ছেয়ে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশন কি একবার তাদের প্রশ্ন করেছে তারা নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে কেন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে?

তারা বললেন নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চাইলে সব দলকে প্রচারের সমান সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা।