ইন্টারপোলের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মেং হংওয়েকে আটক অবস্থায় চীনে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি নিজের জীবন নিয়েও শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রেস মেং তীব্র ভাষায় চীন সরকারের সমালোচনা করেন, যা দেশটির নাগরিকদের জন্য একটি বিরল ঘটনা।
বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থানরত গ্রেস মেং সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার ধারণা এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আমি নিশ্চিত নই ও বেঁচে আছে কিনা।’
মেং হংওয়ে ইন্টারপোলের প্রধান হিসেবে সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
ইন্টারপোলের সাবেক প্রধানের স্ত্রী গ্রেস মেং বলেন, ‘ওরা নিষ্ঠুর। ওরা নোংরা। আর কারও স্ত্রী-সন্তান যেন আমার মতো পরিস্থিতির শিকার না হন, সেটি আমাকে রুখে দাঁড়াতে হবে’, যোগ করেন গ্রেস।
গত মাসে ইন্টারপোল প্রধানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় চীন সফরে গিয়ে নিখোঁজ হন মেং হংওয়ে। তার স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল তদন্ত শুরু করার পর চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, মেংয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এরপর ৭ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন। এ সময় মেং চীনের পাবলিক সিকিউরিটি বা জননিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছিলেন।
চীন বলছে, মেং ঘুষ গ্রহণ করেছেন এমন অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।
বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের দমনে চীন সরকারের ক্ষমতার কোনো ‘সীমা নেই’ দাবি করে গ্রেস বলেন, ‘তাকে ফ্রান্সে হত্যা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে ফোনের মাধ্যমে।’
মেংকে আটকে রেখেছে ন্যাশনাল সুপারভিশন কমিটি নামে একটি সংস্থা। এরা প্রায় ছয় মাস কোনো আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দিয়ে সন্দেহভাজনদের আটকে রাখতে পারে।