মিয়ানমারের নৃশংসতা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তদন্ত দলের প্রধানের তৈরি করা প্রতিবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি করার কথা রয়েছে। এ তদন্ত দল মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর ঘটনায় দেশটির সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে। বৃহস্পতিবার কূটনীতিকরা একথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ নয়টি দেশ মিয়ানমারের নৃশংসতা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সংস্থার তদন্ত দলের দেয়া তথ্য শুনানি করার অনুরোধ জানায়।
চীন এ আবেদনের বিরোধিতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপ থেকে দেশটিকে রক্ষা করতে চায়।
মিয়ানমারের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ২৪ অক্টোবর এ বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশটি জাতিসংঘের এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে।
জাতিসংঘের ওই দল গত মাসে একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মিয়ানমার পরিস্থিতি হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলতে বা অ্যাডক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ওই মিশন জানায়, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফসহ দেশটির শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত করে তাদের বিচার করতে হবে।
তবে গত বছরের দমন অভিযান চলাকালে নৃশংস ঘটনায় মিয়ামারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ দেশটি প্রত্যাখান করেছে। সামরিক বাহিনীর ওই দমন অভিযানে বাধ্য হয়ে সাত লাখের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এ সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া এক পত্রে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ দো সুয়ান জানান, তার সরকার পরিষদে এ মিশনের চেয়ারম্যানের শুনানির আবেদন ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখান’ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, পেরু, সুইডেন, আইভরিকোস্ট, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, কুয়েত ও যুক্তরাষ্ট্র এ বৈঠকের অনুরোধ জানায়।