পাকিস্তানে একটি সফটওয়্যার ফার্মের নারীকর্মীকে হয় অফিসে হিজাব পরা, নয়তো চাকরি ছাড়ারা কথা বলা হয়েছে।
শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দেশটির সফটওয়্যার কোম্পানি ‘ক্রিয়েটিভ কোয়াস’র এই নারীকর্মীকে তার লাইন ম্যানেজার বলেন, অফিসে হিজাব পরে আসা বন্ধ না করলে আপনাকে চাকরি ছাড়তে হবে। কারণ এতে কোম্পানির ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ার তোলপাড় শুরু হলে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) জাওয়াদ কাদির পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, অপেশাদার ও অনৈতিক কারণে গতকাল আমাদের কোম্পানির এক সিনিয়র কর্মী আরেক নারী সহকর্মীকে পদত্যাগ করতে বলেন। পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে একথা বলা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাদির বলেন, এটা শুধু মানহানিকর নয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চরম অনৈতিক বিবেচনাও বটে। এর ফলে একজন সহকর্মীকে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার এবং আমি লজ্জিত।
ভুক্তভোগী এই নারীকর্মীকে তার পদত্যাগ প্রত্যাহার করে পুনরায় চাকরি যোগদানের জন্য বলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পুরো ঘটনার তুলে ধরে পরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন এই হিজাব পরা নারী। এতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তার সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করতে থাকে মানুষ।
পরে সফটওয়্যার ফার্মটি এক ফেসবুকে পোস্টে জানায়, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন জাওয়াদ কাদির।
কোম্পানিটির বোর্ড মেম্বার ও সহযোগীদেরকে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় তিনি বলেছেন যে, আমার ক্ষমাপ্রার্থনাই যথেষ্ট নয়, তাই আমি পদত্যাগ করছি। আমি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
এদিকে এই নারীকর্মী জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর তিনি একই সঙ্গে দুটি ইসলামিক ব্যাংক থেকে চাকরির অফার পেয়েছেন।