ফ্রান্সের বোরকা নিষিদ্ধের ঘোষণায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি।
দেশটিতে বোরকা পরা দুই নারীকে জরিমানা করার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
এই দুই নারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার কমিটি ২০১০ সালের বোরকা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত আইনটি পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটিকে। এই আইনে প্রকাশ্যে মুখ ঢেকে কাপড় পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি সামঞ্জস্যহীনভাবে আবেদনকারীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। তাছাড়া বোরকা নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে ফ্রান্স যে নিরাপত্তা ও সামাজিক কারণগুলো দেখিয়েছে, সেগুলো যৌক্তিক নয়।
২০১২ সালে বোরকা পরার দায়ে অভিযুক্ত হন এই দুই ফরাসি নারী। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটির মতে, এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বোরকা পরা নারীদের ঠেকানোর ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে নারীরা বাড়িতে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
ফ্রান্সে আনুমানিক পাঁচ মিলিয়ন মুসলিম বাস করেন। বোরকা নিষিদ্ধ আইন অনুসারে, একজন নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী নারীকে ১৫০ ইউরো বা ১৭০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।
স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দিয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই কমিটি সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। কিন্তু কমিটির আইনপ্রয়োগ করার ক্ষমতা নেই।
কমিটির সদস্য ইলজে ব্র্যান্ডস-কেহরিস এএফপি’কে বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বোরকা পরা নারীদের তল্লাশির জন্য থামিয়েই জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের পাশাপাশি ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া ও বেলজিয়ামসহ কিছু ইউরোপীয় দেশ বোরকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।