logo
আপডেট : 24 October, 2018 01:16
এরদোগানের বর্ণনায় খাশোগি হত্যা পূর্বপরিকল্পিত
মেইল রিপোর্ট

এরদোগানের বর্ণনায় খাশোগি হত্যা পূর্বপরিকল্পিত

প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে এর এক রকম লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

মঙ্গলবার দেশটির একে পার্টির একটি বৈঠকে প্রেসিডেন্টন খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তথ্য দেন।

এরদোয়ান বলেন, খাশোগিকে হত্যায় ১৫ সদস্যের একটি সৌদি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে তাকে হত্যার একদিন আগে সৌদির তিনজন ইস্তাম্বুলে এসেছিলেন এবং তারা ইস্তাম্বুল ও ইয়ালোভার বন ঘুরে দেখেছিলেন। এছাড়া বাকিরা আরও দুইটি দলে ভাগ হয়ে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে আসেন।

তিনি বলেন, হত্যার পরিকল্পনায় সৌদি কনস্যুলেটরের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এছাড়া হার্ড ড্রাইভ থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে সব ফুটেজ। তবে অন্য ক্যামেরার একটি ফুটেজ দেখা যায়, খাশোগি কনস্যুলেট ত্যাগ করেনি।

খাশোগি হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক, এও উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, খাশোগির আঙুলগুলো কেটে ফেলার পর ঘাতকরা তাকে কনস্যুলেট ভবনের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে একটি টেবিলের উপর রেখে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন।

এদিকে, তুর্কির একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে দেশটির বামপন্থী দল প্যাট্রিয়াটিক পার্টির নেতা দোগু পারিন্সিক দাবি করে বলেন, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটেরের ভেতরে গ্রাউন্ডে পড়ে ছিল সাংবাদিক খাশোগির মরদেহের একটি টুকরো। যা ওই কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা দেখতে পেয়েছিলেন।

ওই সাক্ষাৎকারে এর বেশি এ নেতা স্পষ্ট করেননি। এছাড়া সময়টিতে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো প্রশ্নও করেনি এ বিষয়ে।

সৌদি আরব ৪ অক্টোবর খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অস্বীকার করেছিলেন। সৌদি কনস্যুল জেনারেল রয়টার্সের এক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়ে কনস্যুলেট পরিদর্শন করিয়ে কিছুই ঘটেনি বলে দাবি করেছিলেন। পরে অবশ্য সৌদি স্বীকারোক্তি দিয়ে দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন খাশোগি।

এর আগে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি।