ব্রিটেনজুড়ে শত শত ভবনে এখন তালা ঝুলছে। ভবনগুলোর সবকটিই বসবাসের মেয়াদোত্তীর্ণ। ফাটল দেখা দেয়ায় এগুলোর ফটকে-দরজায় তালা মেরে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ১ লাখ লোকের আবাস ছিল এসব ভবন। এখন অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। আবাসন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জরাজীর্ণ ভবন খুঁজে বের করতে কাজ করছেন তারা। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। সোমবারের ওই খবরে বলা হয়, গত বছর লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার বিপর্যয়ের পর বহুতল ভবনে বাসিন্দাদের নিরাপত্তার সমস্যাটি সামনে আসে।
দেশটির আবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত শতকের ৬০ ও ৭০-এর দশকে ‘লার্জ প্যানেল সিস্টেম’ (এলপিএস) নির্মাণ পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্মিত ভবনের বেশিরভাগই এখন ত্রুটিপূর্ণ। সেগুলোতে কাঠামোগত ফাটল ধরা পড়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরে এমন কয়েকশ’ ভবন রয়েছে। ফ্ল্যাট সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার।
কিছু কিছু ফাটল এত বড় যে সেখানে হাত ঢুকিয়ে দেয়া যায়। ভবনগুলোর অবস্থা এখন এমন যে, আগুন লাগলে বা কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে ধসে পড়তে পারে পুরো ভবন। ১৯৬০-এর দশকে নির্মিত একটি আবাসন এলাকায় ইতিমধ্যে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
আবাসন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। গত বছরের জুন মাসে আগুন লাগে লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও কয়েকশ’।
এরপরই টনক নড়ে আবাসন কর্তৃপক্ষের। গত এক বছরে লন্ডনের অন্তত দুটো আবাসন এলাকার পাশাপাশি লেইসেস্টার, রাগবি ও পোর্টসমাউথ শহরে এলপিএস পদ্ধতিতে নির্মিত শত শত ফাটলযুক্ত ভবন শনাক্ত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে লাগিয়ে দেয়া তালা।