logo
আপডেট : 25 October, 2018 02:32
প্রথমবারের মতো এশিয়ার দুই পরাশক্তির নিরাপত্তা চুক্তি
মেইল রিপোর্ট

প্রথমবারের মতো এশিয়ার দুই পরাশক্তির নিরাপত্তা চুক্তি

প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এশিয়ার দুই পরাশক্তি চীন ও ভারত। সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও চীনের স্টেট কাউন্সিলর তথা নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ঝাও কেজহি দ্বিপাক্ষিক এ নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেন। মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এ চুক্তিতে সন্ত্রাস দমন, সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও আলোচনা বাড়ানোর জন্য এ চুক্তি খুবই কার্যকরী।’ 

চুক্তিতে ঠিক কী রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোনো পক্ষই। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর একটি বিস্তীর্ণ জায়গা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, চীন, মিয়ানমার ও ভারতের ত্রিপাক্ষিক সীমানায় আত্মগোপন করে থাকা উলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) নেতা পরেশ বড়–য়াকে ফেরত চেয়েছে ভারত। পাশাপাশি জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘের জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার বিষয়েও চাপ দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য বলে মাসুদকে কালো তালিকাভুক্ত করতে কয়েকবার ভেটো দিয়েছে চীন।

ভারত, ভুটান ও চীনের তেমাথা ডোকলাম উপত্যকা নিয়ে প্রায় দু’মাসের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির এক বছরের মাথায় এ চুক্তিতে সই করল দেশ দুটি। চীনের স্টেট কাউন্সিলর ঝাও ২১ অক্টোবর থেকে ৫ দিনের ভারত সফরে রয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও ৩০ জনের একটি কূটনৈতিক দল। 

সোমবার বৈঠক শেষে রাজনাথ টুইটারে বলেন, ‘চীনের নিরাপত্তামন্ত্রী ঝাও কেজহির সঙ্গে সফল একটি বৈঠক হল। সন্ত্রাস দমন ও সহযোগিতা ভাগাভাগিতে দু’পক্ষের আলোচনা নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে ঝাও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগের পথে এই সহযোগিতা সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করবে। সন্ত্রাস দমনে এটি প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত গ্যারান্টি নিশ্চিত করবে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে ভারতের মতো একটি বৃহৎ দেশকে পাশে চায় চীন। সন্ত্রাসবাদের ছায়া বেজিংয়ের উপরেও পড়ছে। সব মিলিয়ে ধাপে ধাপে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সমঝোতার জানালা খুলতে চাইছে বেইজিং- এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বৃহত্তম সামরিক মহড়ার ইঙ্গিত বিপিনের : ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার ইঙ্গিত দিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সেনাবাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। 

সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিপিন বলেন, ‘বিগত যুদ্ধের মতো আগামীর যুদ্ধেও জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা চাই। তাই আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের বৃহত্তর প্রস্তুতি নিতে হবে।