তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগির ছেলে সালাহ বিন খাশোগি রিয়াদ ছেড়েছেন। খাশোগির পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
খাশোগির বড় ছেলে সালাহ’র যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সালাহ’র পাসপোর্ট জব্দ করে রেখে তার দেশ ছাড়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় তিনি সৌদি আরব ছাড়তে পারছিলেন না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এর আগে সালাহকে দেশত্যাগে অনুমতি দিতে সৌদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাদিনো বলেছেন, তাকে (সালাহ) দেশ ছাড়তে দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্তুষ্ট’।
এর আগে গত মঙ্গলবার সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন সালাহ।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। প্রথমে সৌদির কর্মকর্তারা খাশোগির অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানেন না বললেও পরে তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।
সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২১ সৌদি নাগরিকের ভিসা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এরইমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন শীর্ষ সৌদি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান জিনা হাস্পেল তুরস্কের কাছে থাকা খাশোগির হত্যাকাণ্ডের অডিও শুনেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। পরে তিনি এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে ব্রিফ করেন।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার ভাষায় সৌদির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে রিয়াদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওয়াশিংটন। তবে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততারও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।