ব্রাজিলের ট্রাম্প খ্যাত চরম-ডানপন্থি জেইর বলসোনারো দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। রোববারের নির্বাচনের পর ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেশটির সুপ্রিম ইলেকটোরাল ট্রাইব্যুনাল তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
ব্রাজিলের ইতিহাসে অন্যতম সহিংস রাজনৈতিক প্রচারণার ও মেরুকরণের এই নির্বাচনে সাও পাওলোর সাবেক মেয়র বামপন্থি ফার্নান্দো হাডাডকে পরাজিত করেছেন।
ইলেকটোরাল ট্রাইব্যুনালের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৫.৫৪ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাডাড ৪৪.৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম দফার ভোটাভুটিতে ১৩ জন প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জয়ী হয়েছিল বলসোনারো। ওই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রায়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোটের কম ছিল। তাই রোববার ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা হাডাডের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
জয়ী হওয়ার পর দেয়া ভাষণে বলসোনারো নিজেকে ‘স্বাধীনতার একজন রক্ষক’ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নিজেদের দায়িত্ব পালন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় আমার সরকার কাজ করবে। আইন সবার জন্য, এভাবেই কাজ করবে আমাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক সরকার।
৬৩ বছর বয়সী বলসোনারোকে গত মাসে এক নির্বাচনী সমাবেশের সময় পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন বলসোনারো। কিন্তু এরপরই যেন তিনি ব্রাজিলের ভোটারদের মন জিতে নেন।
মূলত দীর্ঘ আর্থিক মন্দা, নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ভোটাররা দুর্নীতির দায়ের জেলে থাকা লুলা ডা সিলভার পরিবর্তে নির্বাচনে দাঁড়ানো তারই দলের প্রার্থী হাডাডকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় বর্ণবাদী, সমকামীবিরোধী ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন বলসোনারো। আর বিতর্কিত বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগেজ দুতের্তের সঙ্গে তুলনা করা হয়।