তিন বছর আগে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তির সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে যেসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল, চলতি মাস থেকে সে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় বহাল করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউস বলছে, এটি হতে যাচ্ছে ইরানের শাসকগোষ্ঠীর ওপর আরোপ করা ‘সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’।
বিবিসি জানিয়েছে, জাহাজ নির্মাণ, বাণিজ্য, অর্থায়ন, ব্যাংক ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দেয়া এসব নিষেধাজ্ঞা সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এবারের নিষেধাজ্ঞায় থাকছে সাতশরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, নৌযান ও উড়োজাহাজ। থাকছে বৃহৎ ব্যাংক, জাহাজ ও তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তেহরানকে ১২টি শর্ত বেধে দিয়েছেন।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব নিষেধাজ্ঞায় খুব বেশি উদ্বিগ্ন নয় তারা।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই জেসিপিওএ চুক্তি অনুযায়ী, তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টানার শর্তে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
চলতি বছর চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আটটি দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে না। কিনলে ওই দেশগুলোকেও শাস্তি ভোগ করতে হবে। আটটি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত ও জাপানসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীন, রাশিয়াসহ চুক্তির অন্য পক্ষগুলো কোনো ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন পম্পেও।