logo
আপডেট : 6 November, 2018 03:01
কোহলিকে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর আজম
স্পোর্টস ডেস্ক

কোহলিকে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর আজম

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। শচীন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের একাধিক রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন কোহলি। ভারতীয় এই অধিনায়ককে শচীনের সঙ্গেও তুলনা করছেন বিশ্ব তারকাদের অনেকে। অথচ সেই কোহলির রেকর্ডই ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজম।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত দিন দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ডের মালিক ছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় এই অধিনায়কের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েছেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্মেটে এক হাজার রান করতে কোহলি খেলেন ২৭ ম্যাচ। তার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে এক হাজারি ক্লাবের সদস্য হলেন বাবর।

সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে দুর্দান্ত খেলছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সবশেষ ১১টি সিরিজে টানা জয় পেয়েছে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দল। পাকিস্তানের এই টানা সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজম।

রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনীতে ২৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম।

৫৮ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৭৯ রান করেন ওপেনার বাবর। এই রান করার মধ্য দিয়ে বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে যান বাবর। ৩৪ বলে চার বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কায় ৫৩ রান করেন হাফিজ। বাবর ও হাফিজের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ফিলিপস উইকেটের একপাশ আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন উইলিয়ামসন।

এরপর ২৭ বলের ব্যবধানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত খেলতে থাকা উইলিয়ামসনকে ফেরান শাদাব খান। তার আগে ৩৮ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৬০ রান করেন নিউজিল্যান্ডের এ অধিনায়ক।

পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমাদ ওয়াসিম এবং এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ওয়াকাস মাকসুদ।

৪৭ রানে জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয় পাকিস্তান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাবর আজম। তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৩২ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন মোহাম্মদ হাফিজ।