বিয়ের আগে বর-কনের রক্ত পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক কেন নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সব চাকরিতে ঢোকার আগে ডোপ টেস্ট ও মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বিয়ের আগে বর ও কনের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্ব আছে কি না, তা পরীক্ষা করে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল বাধ্যতামূলক চেয়ে গত ৫ জুলাই একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি করেই আজ এ রুল জারি করা হয়। অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনও রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগই তরুণ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বিবাহ-বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মাদকাসক্তি। বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশী পরিষদের তথ্য অনুযায়ী নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অক্ষমতা।
বিভিন্ন ধরনের মাদক যেমন- ইয়াবা, হেরোইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি সেবনে পুরুষরা পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। নিকাহ নামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যত সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।