ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা সঠিক মনে হয়নি। কারণ আমরা মনে করি এতে বিশ্বের ভারসাম্য নষ্ট হয়।’
২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ৬ জাতিগোষ্ঠী চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য রাষ্ট্র (পি-ফাইভ) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি (ওয়ান) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। পূর্বসূরি ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত ৮ মে তা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সোমবার (৫ নভেম্বর) পরমাণু চুক্তি পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহালের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প একে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ‘এযাবৎকালের সবচেয়ে কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দেন। ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে নিতে চান বলে জানান তিনি।
তবে এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্রাজ্যবাদী কোনও বিশ্বের বসবাস করতে চাই না।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ৭০০ এরও বেশি ব্যক্তি, বিমান ও জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে। এছাড়া ৫০টি ব্যাংকও রয়েছে। চীন, গ্রিস, ভারত, তুরস্ক, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে ইরানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে তিন মাস সময় দিয়েছে। এতে করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে তেল বাণিজ্যে সৃষ্ট অস্থিরতা কিছুটা লাঘব হয়েছে।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সীমান্তে মার্কিন টহলেরও সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। তনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এই টহল মেনে নিতে পারি না। এতে সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হবে।