সাগরতলে বেডরুম। মাছের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আপনি রাত্রিযাপন করছেন। সিনেমার চরিত্রের মতো এটা কি ভাবা যায়। মাছের সঙ্গে ঘুমানো অনেকের কাছে স্বাপ্ন।
বাস্তবেই এমন ব্যবস্থা করেছে করনাড মালদ্বীপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
মালদ্বীপের রাংগালি দ্বীপে চালু হয়েছে বিস্ময়কর একটি রিসোর্ট। দাবি করা হচ্ছে সমুদ্রতলে গড়ে ওঠা বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক আবাসিক হোটেল এটি।
এর নাম রাখা হয়েছে ‘মুরাকা’। স্থানীয় ভাষায় ধীভেয়ির অর্থ ‘মুরাকা’ যার অর্থ ‘প্রবাল’। পর্যটকরা সেখানে গিয়ে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ভারত মহাসাগরের অতুলনীয় সৌন্দর্য। যেখানে হোটেল কক্ষের বিছানায় শুয়ে শুয়েই আপনি দেখতে পারবেন নানা মাছ, হাঙর, ক্যাটফিশ, জেলিফিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী।
সাগরের তলদেশে হোটেলে থাকা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা। তাই খরচও পড়বে বেশি। এ রিসোর্টে প্রতি রাতের জন্য গুনতে হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৪২ লাখ টাকা)। তবে কমপক্ষে চার রাতের জন্য বুকিং দিতে হবে।
আর যারা এ প্যাকেজটি বুকিং দেবেন তারা পাবেন হিলটন ডায়মন্ডের স্ট্যাটাস। দোতলা হোটেলটির নিচ তলার উচ্চতা ১৬ ফুট। তবে সাগরের ঢেউয়ের নিচে। এতে শোবার ঘর, বাসস্থান ও বাথরুম আছে। এ ছাড়া কাচের দেয়ালে চোখ রেখে অতিথিরা চারপাশে সাঁতরে বেড়ানো রঙ-বেরঙের সামুদ্রিক প্রাণী দেখতে পারবেন। নিচ তলা থেকে দোতলায় যাওয়ার জন্য রয়েছে আঁকাবাঁকা সিঁড়ি।
ওপর তলায় আছে বিশাল শোবার ঘর, বাথরুম, টয়লেট, জিম, খানসামাদের ঘর, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের ঘর, কিচেন ও বার। বাথরুমে আছে সাগরমুখো বাথটাব। সেখানে বসে উপভোগ করা যাবে দিগন্তের সৌন্দর্য। এছাড়া ডাইনিং রুমে রয়েছে সূর্যাস্তমুখী পাটাতন। এ হোটেলের বিপরীত দিকে আছে চিত্তবিনোদনের একটি ডেক।
সেখান থেকে সূর্যোদয় দেখার পাশাপাশি গা ভেজানোর জন্য পাওয়া যাবে সুইমিং পুল। ‘মুরাকা’ তৈরিতে খরচ হয়েছে দেড় কোটি মার্কিন ডলার (১২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা)। সব মিলিয়ে ৯ জন অতিথি থাকতে পারবেন সেখানে।
বাড়িটি ডিজাইন করেছেন মালদ্বীপের ক্রাউন কোম্পানির স্থপতিরা। নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিল নিউজিল্যান্ডের অ্যাকুয়ারিয়াম প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এমজে মারফি লিমিটেড।