
ইসরাইলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ইহুদিবাদী দেশটির সেনাদের দাবি, তাদের টার্গেট ছিল-হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাস্সাম ব্রিগেডের সিনিয়র কমান্ডার নূর বারাকা। এ সময় বাধা পেয়ে অন্য ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে তারা। এ সময় হামাসের পাল্টা গুলিতে এক ইসরাইলি সেনাও প্রাণ হারায়। খবর আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরাইলি বিশেষ বাহিনীর একটি দল রোববার ছদ্মবেশে একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে।
এ সময় তারা চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাস্সাম ব্রিগেডের সিনিয়র কমান্ডার নূর বারাকাকে হত্যা করে। ইসরাইল সীমান্ত থেকে গাজা উপত্যকার তিন কিলোমিটার ভেতরে ওই হামলা হয় বলে হামাস জানিয়েছে।
কমান্ডার নিহত হওয়ার পর হামাস যোদ্ধারা ঘাতক ইসরাইলি সেনা বহনকারী গাড়িটির ওপর হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। এ সময় আরও ৬ ফিলিস্তিনিসহ এক ইসরাইলি সেনাও নিহত হয়।
এ সময় আকাশে উড়ে আসে একটি ইহুদিবাদী জঙ্গিবিমান। ইসরাইলি বিশেষ সেনা বহনকারী গাড়িটিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য ওই বিমান থেকে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিজের অবৈধ উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের এভাবে হত্যা করে আসছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
গত ৩০ মার্চ থেকে নিজেদের ভূমি ফিরে পাওয়ার আন্দোলন নতুন করে শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক নারী ও শিশুসহ স্বাধীনতাকামী দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদার ইহুদিবাদীরা।