কংগ্রেস নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ পর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় আবার বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরের খবর সম্পর্ক জ্ঞাত কয়েকটি সূত্র জানায়, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার তিন জ্যেষ্ঠ সদস্য-চিফ অব স্টাফ জন কেলি, হোমাল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিয়াস্টিন নিয়েলসেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়ান জিঙ্ক শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন।
কংগ্রেসের নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কর্মকর্তাকে ছাঁটাই না করতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারা। তাই ওই সময় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ৬ নভেম্বর নির্বাচনের ফলাফল আসার কয়েক ঘন্টা পরই অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম ২২ মাসে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটেছে। চলতি বছর ব্রুকিংস ইনিস্টিটিউশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গত পাঁচ জন প্রেসিডেন্টের মধ্যে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসেই সবচেয়ে বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের অনুরোধে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিরা রিকার্ডেলকেও বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সম্প্রতি আফ্রিকা সফরের সময় মেলানিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে মিরা রিকার্ডেলের। এরপরই তাকে বরখাস্ত করার জন্য স্বামী ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন মেলানিয়া।
ট্রাম্প স্ত্রীর এই অনুরোধ রাখতে যাচ্ছেন বলে জানায় সূত্রগুলো। মেলানিয়া ট্রাম্পের দপ্তরও এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছে।
হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প নিয়েলসেনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প কেলিকে চিফ অব স্টাফ করার পর নিয়েলসেন হোমাল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
অপরদিকে নিজ রাজ্য মন্টানায় ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক লেনদেনসহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।