শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেছেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে চাইলেই প্রত্যাবাসন করা হবে। এর জন্য বাংলাদেশ যাবতীয় প্রস্ততি শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য দুটি ট্রানজিট ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। একটি টেকনাফের কেরুনতলী ও আরেকটি বান্দরবানের ঘুমধুমে। কিন্তু আজকে প্রত্যাবাসনের জন্য শুধুমাত্র ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাটটি ব্যবহৃত হবে। আমরা আশা করছি, যাদেরকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের জন্য পাই তাদেরকে নিয়ে দুপুর ২টার মধ্যে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় হাজির হব। এই জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি যেমন যারা যাবে তাদের জন্য ৩দিনের রেশন সহ অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা এখন ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।
কতজন রোহিঙ্গা ফেরত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও বলা যাচ্ছে না ঠিক কতজন রোহিঙ্গা ফেরত যাবে। আমি এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছি। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা হবে। তারপর যারাই স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে চাইবে তাদেরকে ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাট দিয়ে সড়ক পথে দুপুর ২টায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গত ৩০ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মনোভাব জানতে ৪৮৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জনের একটি তালিকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএচসিআর-কে দেওয়া হয়। এর দুসপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করে সংস্থাটি। আজও ইউএনএইচসিআর কয়েকটি পরিবারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তাদের মতামত জানতে চাইবে। ইতোমধ্যে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া বিষয়ে একটি চিঠি আবুল কালামকে দিয়েছে, যা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর গত মঙ্গলবার ও বুধবার তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে গোটা প্রক্রিয়াটিই অনিশ্চয়তায় পড়েছে।