লক্ষ্য ছিল ৪৪৩। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু কিসের কী? এর ধারেকাছেও যেতে পারল না সফরকারীরা। ২২৪ রানেই গুটিয়ে গেল তারা। এতে মিরপুর টেস্টে ২১৮ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ফলে দু'দলের ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। ১৫১ রানে সিলেট টেস্ট জিতেছিল রোডেশিয়ানরা।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ৪ এবং শন উইলিয়ামস ২ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। মন্থর শুরু করেন তারা। তবে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরান মোস্তাফিজুর রহমান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ফলে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
এ পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন পিটার মুর। ব্রেন্ডন টেইলরকে দারুণ সঙ্গ দেন তিনি। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। কি স্পিন, কি পেস-কোনো কিছু দিয়েই আটকানো যাচ্ছিল না ওদের। পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাতে থাকেন তারা। এতে ফিকে হতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ভয়ংকর জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করে মুরকে ফেরান তিনি। এতে ভাঙে টেইলর-মুরের ৬৬ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙায় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে স্বাগতিকরা।
মুর ফিরতেই পথ হারায় রোডেশিয়ানরা। খানিক বাদেই মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের যুগলবন্দিতে রানআউট হয়ে ফেরেন রেজিস চাকাভা। অল্পক্ষণ পরই মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তারা। প্রথমে লিটন দাসের তালুবন্দি করে ডোনাল্ড তিরিপানোকে ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে তাইজুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেন্ডন মাভুতাকে ফেরান এ অফস্পিনার। ফলে বাংলাদেশের জন্য জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এর আগে জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ করে জিম্বাবুয়ে। বিনা উইকেটে ৬৮ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। কিন্তু এরপর ২ রানে ২ উইকেট হারান তারা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (২৫) ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অপর ওপেনার ব্রায়ান চারিকে (৪৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম।