logo
আপডেট : 16 November, 2018 03:16
রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে আটকে গেল প্রত্যাবাসন
সুজাউদ্দিন রুবেল, কক্সবাজার থেকে

রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে আটকে গেল প্রত্যাবাসন

রোহিঙ্গাদের  অনাগ্রহের কারণে আটকে গেল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা থাকলেও তাদের কেউই নিজ দেশে ফেরত যেতে চাচ্ছেন না। এ কারণে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা উনচিপ্রাং ক্যাম্পে গিয়েছিলাম এবং দুপুর দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি কোনও রোহিঙ্গা ফেরত যেতে চায় কিনা জানতে। কিন্তু কেউ ফেরত যেতে চায়নি। এরপর বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বাড়ানোর পরেও কেউ রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে এবং আমরা তাদের ওপর কোনও জোর করবো না। তবে যখন রোহিঙ্গারা চাইবে তখনই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কখন শুরু হতে পারে।

গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশ সম্মত হয় ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে। কিন্তু মিয়ানমারে নিপীড়নমূলক ও বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি বিরাজ করায় রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরতে রাজি হচ্ছেন না।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা প্রথম দলের ৪৮৫টি পরিবারের মধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয় গত মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ও বুধবার (১৪ নভেম্বর)। কিন্তু তাতে একটি পরিবারও যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। যে মুহূর্তে রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হবেন তখনই আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।

এদিকে উনচিপ্রাং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিচার দাবি করে একটি বিক্ষোভ হয়। রোহিঙ্গারা দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করে মিছিল করেন। গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করে। এর দুদিন আগে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে ২ হাজার ২৬০ জনের তালিকা দেওয়া হয়। কিন্তু শরণার্থী সংস্থা দুই সপ্তাহ পরে ১৩ নভেম্বর, রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে আগ্রহী কিনা সেটি জানার জন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু করে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুই দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর বিভিন্ন পরিসরে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও প্রত্যাবাসন শুরু করা যাচ্ছিলো না। রোহিঙ্গাদের ভয় তারা ফেরত গেলে আবারও তাদের ওপর নির্যাতন করা হবে।