ভারতে সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি পর্যকদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবছর প্রায় ১২ থেকে ১৪ লাখ বাংলাদেশি ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারত যাচ্ছে।
এর মধ্যে শুধু চিকিৎসার জন্য যায় প্রায় চার লাখ মানুষ। ভারতীয় ভিসা সেন্টারে মোট জমা পড়া ভিসা আবেদনের প্রায় ৩০ শতাংশ আবেদন পড়ে চিকিৎসা ভিসার জন্য।
দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগেই চিকিৎসা ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করেছে ভারত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ সুযোগ। তবে চিকিৎসা ভিসার আবেদনে দ্রুত সময়ে এক বছরের ভিসা পেলেও আবেদনের ক্ষেত্রে পোহাতে হয় বেশকিছু ঝামেলা। এখানকার ডাক্তারের নির্দেশনা, ওদেশের ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানায়, মেডিকেল ভিসা ছাড়াও যে কোন বাংলাদেশি পর্যটক দেশটির যে কোনো হাসপাতালেই চাইলে সব ধরনের টেস্ট থেকে শুরু করে ডায়াগনসিস করতে পারবেন।
তবে যদি কেউ জটিল কোনো অপারেশন বা জটিল এমন কোনো রোগ নিয়ে যান, যাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে কিংবা অপারেশন করাতে হবে- সেক্ষেত্রে মেডিকেল ভিসা জরুরি। অনেকের জানা নেই মেডিকেল ভিসা ছাড়াও ভারতে চিকিৎসা করা যায়।
ভারতে যেসব বাংলাদেশি যান তাদের ৬০ শতাংশ যান পর্যটক ভিসায়। এদের কেউ যে ডাক্তার দেখান না, বিষয়টি এমনও নয়। তবে মেডিকেল ভিসা সিস্টেম থাকায় অধিকাংশ মানুষ মনে করেন ডাক্তার দেখানো মানেই বোধহয় তাকে মেডিকেল ভিসা নিতে হবে। এ ধারণাটি ভুল। বিশেষ ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসায় ডাক্তার দেখাতে কোনো বাধা নেই।
এছাড়া ঢাকায় চাপ কমাতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলায় ভিসা সেন্টার খোলার ঘোষণা আগেই দিয়েছে হাইকমিশন। বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এটিসহ আরও বেশকিছু সুখবর শিগগির মিলবে ভারতভ্রমণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তারই আভাস এসব পদক্ষেপ।